গত পর্বে আলোচনা করেছিলাম- “আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স আসলে কী?”
পর্ব-২: আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ইতিহাস
চিন্তা করতে সক্ষম কৃত্রিম মানুষ মূলত গল্প বলার যন্ত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। কার্যকর যুক্তি ও সে অনুযায়ী ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য একটি যন্ত্র তৈরির চেষ্টা করার ধারণাটি সম্ভবত রামন লোল (১৩০০ খ্রিস্টাব্দে) এর সাথে শুরু হয়। তার ক্যালকুলাস রেটিওসিনেটরের সাথে, গটফ্রিড লিবিনিজ গণিত মেশিনের ধারণাকে সম্প্রসারিত করেছিলেন (উইলহেলম স্কিকার্ড ১৬২৩ এর কাছাকাছি সময় প্রথম একটি প্রকৌশলগত কাজ করেছিলেন), সংখ্যার পরিবর্তে ধারণার উপর অপারেশন পরিচালনার উদ্দেশ্যে। উনিশ শতক থেকে কৃত্রিম মানুষ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতে সাধারণ বিষয় হয়ে গিয়েছিল, যেমন মেরি শ্যালীর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন বা কারেল কেপেক এর আর.ইউ.আর. (রাসোসের ইউনিভার্সাল রোবটস) এর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।
এআই গবেষণা ক্ষেত্র যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমাউথ কলেজের ১৯৫৬ সালে একটি কর্মশালায় প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অ্যালেন নিউয়েল (সিএমইউ), হারবার্ট সিমন (সিএমইউ), জন ম্যাকার্থি (এমআইটি), মার্ভিন মিনস্কি (এমআইটি) এবং আর্থার স্যামুয়েল (আইবিএম) এআই গবেষণার প্রতিষ্ঠাতা এবং নেতা হয়ে উঠেছিলেন।
জন ম্যাকার্থি সর্বপ্রথম ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র ধারণা প্রদান করায় এবং ১৯৫৭ সালে প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রোগ্রামিং ভাষা লিস্ট প্রসেসর(LISP) আবিষ্কার করায়, তাঁকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক বলে অভিহিত করা হয়৷ এছাড়া ১৯৫৭ সালে মার্ভিন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভুত উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে এক নতুন ধরণের উন্নত অনুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেলেন আর ঐ ধরণের যন্ত্রকে আজ আমরা “কনফোকাল মাইক্রোস্কোপ” বলে জানি। তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যন্ত্রের জনক বা প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় মার্ভিন মিনস্কি কে। তিনি ১৯৫৮ সালে মার্ভিন ম্যাসাচুসেট্স ইন্স্টিটিউট অব টেকনোলজিতে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন।
(… চলবে …)