পর্ব-২
ডেটা এন্ট্রি আসলে কী?চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু বিশেষ ধরনের তথ্য কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে উন্নততর স্থানে ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষন করার পদ্ধতিকে ডেটা এন্ট্রি বা তথ্য সন্নিবেশ করা বলে।
ডেটা এন্ট্রি এর কাজ কত রকম হতে পারে?ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর নির্ভর করে ডেটা এন্ট্রি এর কাজ মুলত তিন ধরনের হতে পারে; (১) অফলাইন ডেটা এন্ট্রি, (২) অনলাইন ডেটা এন্ট্রি, (৩) ক্রস প্ল্যাটফর্ম ডেটা এন্ট্রি।পুরো লেখাটি পড়তে আপনার সর্বোচ্চ ৫ মিনিট লাগতে পারে। একদম এক নিঃশ্বাসেই পড়ে ফেলার মতো। আসুন শুরু করা যাক।
(১) অফলাইন ডেটা এন্ট্রি:যে সকল তথ্য কোনো রকম ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই আপনি নিরাপদ জায়গায় এন্ট্রি করে সংরক্ষন করতে পারবেন তাকে অফলাইন ডেটা এন্ট্রি বলে। অফলাইন ডেটা এন্ট্রি করতে যে সকল মিডিয়া ব্যবহার করা হয় তার সাথে ইন্টারনেট এর কোনো যোগাযোগ নেই। যেমন: কলম, খাতা এমনকি ইন্টারনেট সংযোগ বিহীণ ল্যাপটপ/ডেস্কটপ কম্পিউটার এর বিভিন্ন রকম হার্ডড্রাইভ, লোকাল সফটওয়্যার, লোকাল মেশিনের প্রি-প্রোগ্রামড মেমরি ইত্যাদি।
(২) অনলাইন ডেটা এন্ট্রি:অনলাইনে থাকা সফটওয়্যার, এপস, ওয়েবসাইট, ভার্চুয়াল ড্রাইভ ইত্যাদিতে যে সকল পদ্ধতিতে তথ্যসমূহ ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে এন্ট্রি করা হয় ও পরবর্তীতে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে এক্সেস করা বা ব্যবহার করা হয় তাদেরকে অনলাইন ডেটা এন্ট্রি বলা হয়। এটির সুবিধা ও ঝুঁকি দুটিই বেশি। অনলাইনে ডেটা এন্ট্রির সুবিধা হলো এই কাজটি যে কাউকে এক্সেস দিলে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বসেই ডেটা এন্ট্রির কাজ করতে পারে।
(৩) ক্রস প্ল্যাটফর্ম ডেটা এন্ট্রিঃএই পদ্ধতিতে অফলাইনে থাকা কোনো কম্পিউটার ডিভাইস এর নির্দিষ্ট লোকেশনে ডেটা এন্ট্রি করার পরে সেই কম্পিউটারে অনলাইন সংযোগ দেওয়ার সাথে সাথে সেটা অটো সিনক্রোনাইজ পদ্ধতিতে অফলাইন ডেটা থেকে অনলাইন স্টোরেজে আপলোড হয়ে যায়। এক্ষেত্রে এডমিন ইউজারকে শুধু এই অনলাইন ও অফলাইন প্ল্যাটফর্মে থাকা ডিভাইস ও স্টোরেজকে পরস্পর ক্রস ম্যাচ করিয়ে সিনক্রোনাইজ অন করিয়ে দিতে হয়। ব্যস। এটুকুই। মানে অনলাইনে না থাকলেও ডেটা এন্ট্রি করা যাবে। তবে একই ডেটার একটি কপি ইন্টারনেট সংযোগ এর মাধ্যমে অনলাইনেও সংরক্ষন করা হবে।
সাধারণত কী কী রকম ডেটা থাকে এন্ট্রি করার জন্য?ইনশাআল্লাহ্ আগামী পর্বে এই বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
(চলবে)
এছাড়াও পড়ুন: Artificial Intelligence (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নিয়ে।